ভারতের প্রধান বিচারপতিকে ৫ বছরের কারাদন্ড
ভারতের সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতিসহ আট বিচারপতিকে কারাদণ্ড দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সি এস কারনান। প্রধান বিচারপতি জে এস খেহারসহ আটজনের বিরুদ্ধে ওই কারাদণ্ডের রায় ঘোষণা করা হয়। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়ার।
সোমবার বিচারপতি কারনান রায়ে বলেন, ১৯৮৯ সালের তফসিলি জাতি ও উপজাতি নিপীড়ন আইন এবং ২০১৫ সালের সংশোধনী আইন অনুযায়ী বৈষম্য ও অবমাননা মামলার অপব্যবহারের দায়ে ওই আটজন দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় তাদের পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
প্রধান বিচারপতি ছাড়া বাকি যে সাত বিচারপতিকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে তারা হলেন, দীপক মিশ্র, জে চেলাশ্বরম, রঞ্জন গগৈ, মদন বি লোকুর, পিনাকি চন্দ্র ঘোষ এবং কুরিয়ান জোসেফ।
এ বছরের শুরুতে মাদ্রাজ হাইকোর্টের ৬১ বছর বয়সী বিচারপতি কারনান ভারতের ২০ জন দুর্নীতিগ্রস্ত বিচারকের নাম উল্লেখ করে তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত দাবি করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে চিঠি পাঠান।
এ ঘটনার পর তাকে বদলি করে কলকাতা হাইকোর্টে পাঠিয়ে দেয় দেশটির সর্বোচ্চ আদালত। দলিত শ্রেণির হওয়ায় তাকে এমন হয়রানি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ আনেন তিনি।
চলতি বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে সাত বিচারপতির একটি বেঞ্চ কারনানের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা শুরু করে। এ বছরের জুনে অবসরে যাওয়ার কথা ছিল কারনানের। কিন্তু তার আগেই তাকে বিচার বিভাগীয় ও প্রশাসনিক কাজ করা থেকে বিরত রাখা হয়।
এদিকে, কারনানের মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে চার সদস্যের একটি মেডিক্যাল টিম তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে গেলে তিনি তাদের ফিরিয়ে দিয়েছেন। তিনি স্বাস্থ্য পরীক্ষায় অস্বীকৃতি জানান।
বিচারপতি কারনানকে ১৪ কোটি রুপি জরিমানা দিতে হবে কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আট বিচারপতির। তবে বিচার বিভাগীয় ও প্রশাসনিক কাজের ক্ষমতা হারানোয় বিচারপতি কারনানের এই রায়ের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।